নিজস্ব প্রতিবেদক
১২ জানুয়ারি ২০২২ ১১:০৬ এএম | আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০২২ ১১:৩৬ এএম 34 Shares
ছবি : সংগৃহীত advertisement
করোনাভাইরাস সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকি বিবেচনায় ঢাকা ও রাঙামাটি জেলাকে রেড জোন বা অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তার। এ ছাড়া মধ্যম পর্যায়ের (হলুদ জোন) ঝুঁকিতে রাখা হয়েছে ছয় জেলাকে। আর গ্রিন জোনে রয়েছে ৫৪টি জেলা।
অন্যদিকে, পঞ্চগড় ও বান্দরবান জেলায় নমুনা পরীক্ষার হার খুবই কম হয়েছে। গত এক সপ্তাহের তথ্য বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
প্রতিষ্ঠানটির তথ্যমতে, রাজধানীতে করোনা সংক্রমণের হার ১২ দশমিক ৯০ শতাংশ। রাঙ্গামাটিতে করোনা সংক্রমণের হার ১০ শতাংশ।
মধ্যম পর্যায়ের ঝুঁকিতে থাকা জেলাগুলো হলো- রাজশাহী, রংপুর, নাটোর, লালমনিরহাট, দিনাজপুর, যশোর। এসব জেলায় করোনা সংক্রমণের হার ৫ শতাংশ থেকে ৯ শতাংশে অবস্থান করছে।
দেশে করোনা রোগী শনাক্তের সংখ্যা বাড়ছে প্রতিদিন। সেইসঙ্গে বাড়ছে শনাক্তের হারও। পূর্ববর্তী সাতদিনের চেয়ে গত সাত দিনে করোনা সংক্রমণ বেড়েছে ১৬৯ দশমিক ১২ শতাংশ। তবে এতে মৃত্যু হার কমেছে ২০ শতাংশ।
এদিকে, করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে উন্মুক্ত স্থানে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ এবং গণপরিবহনে যাত্রী অর্ধেকসহ ১১ দফা নির্দেশনা দিয়ে গত সোমবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এসব বিধিনিষেধ কার্যকর থাকবে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল রাখা এবং সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের প্রাদুর্ভাব ও সংক্রমণ পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণায় সভায় এই ১১ দফা নির্দেশনা জারির সিদ্ধান্ত হয়।
নির্দেশনাগুলো হলো- দোকান, শপিংমল ও বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতা এবং হোটেল-রেস্তোরাঁসহ সব জনসমাগমস্থলে বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরা। অফিস-আদালতসহ ঘরের বাইরে আবশ্যিক মাস্ক ব্যবহার। বেস্তোরাঁয় খাবার খেতে এবং আবাসিক হোটেলে থাকতে হলে টিকা সনদ প্রদর্শন, ১২ বছরের ঊর্ধ্বের সব শিক্ষার্থীকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় নির্ধারিত তারিখের পরে টিকা সনদ ছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশের অনুমতি না দেওয়া।
স্থলবন্দর, সমুদ্রবন্দর ও বিমানবন্দরসমূহে স্ক্রিনিংয়ের সংখ্যা বাড়ানো। ট্রেন, বাস এবং লঞ্চে সক্ষমতার অর্ধেক সংখ্যক যাত্রী নেওয়া। সব ধরনের যানের চালক ও সহকারীদের আবশ্যিক টিকা সনদ থাকা, বিদেশ থেকে আগত যাত্রীসহ সবাইকে বাধ্যতামূলক করোনা টিকা সনদ প্রদর্শন। স্বাস্থ্যবিধি মানা এবং মাস্ক পরার বিষয়ে দেশের সব মসজিদে জুমার নামাজের খুতবায় ইমামগণের সংশ্লিষ্টদের সচেতন করা, করোনার টিকা এবং বুস্টার ডোজ গ্রহণ ত্বরান্বিত করতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রচার এবং উদ্যোগ গ্রহণ করা। উন্মুক্ত স্থানে সর্বপ্রকার সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং সমাবেশ বন্ধ রাখা।