ওয়াজ করে কি হইছে? ঘোড়ার ডিম হইছে? হুজুরদের উপর এভাবেই ক্ষোভ ঝাড়লেন সুপারহিউম্যান খ্যাত মানবিক পুলিশ সদস্য মুহাম্মদ শওকত হোসেন। শরীরে ক্ষত নিয়ে রাস্তার পাশে কাউকে পড়ে থাকতে দেখলেই ছুটে যান তিনি৷ নিজের বেতনের টাকা দিয়ে তাদের চিকিৎসা, খাবার আর পোশাকের ব্যবস্থা করা শওকতের ভাইরাল হওয়া ভিডিও ক্লিপটি নিচে দেওয়া হলো:
শওকত আরো বলেন, আপনারা চট্টগ্রামের সওদাগর। হজ্ব করার জন্যে পয়সার অভাব নাই। মসজিদে এসি লাগানো আর প্রতিযোগিতা করে কোন সওদাগর কত টাকা ওয়াজে দান করলেন, তার প্রতিযোগিতা করেন আপনারা। মাদ্রাসায় চারটা গরু দিয়ে জানান দেন হাজী সাহেব চারটা গরু দিছেন। অথচ আপনার কাছে কি খবর আছে আপনার প্রতিবেশী না খাইয়া আছে? চট্টগ্রাম বারো আউলিয়ার দেশ।
রাজধানীর মগবাজারে এক হিজরা গলায় ফাসঁ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে ≣ বগুড়ায় এক স্কুল ছাত্রী ফোন করেও সহায়তা পেলনা পুলিশের ≣ বিশ্ববিদ্যালয়ের অসচ্ছ্ল শিক্ষার্থীদের জন্য মোবাইল ঋণ কীভাবে কাজ করবে
১০ বছরেও নতুন কাপড় না কেনা শওকত আরো বলেন, কওমী, তবলীগী, জলুস, ভান্ডারী সব লাইনে অনুসারীদের সংখ্যা বাড়তেছে, কিন্তু অসহায় মানুষদের দেখার মানুষ কমতেছে। আকিদার উন্নতি হচ্ছে আর সেবার অবনতি হচ্ছে চট্টগ্রামে। বড় বড় হুজুরদের বয়ান শুনবেন আর দরিদ্র মানুষজন খাবার পায়না, চিকিৎসা নাই। আপনারা মেজবান খান, গরীব মানুষ সেখানে ঢুকতে পারেনা। আল্লাহকে রাজী খুশি করার জন্যে ওয়াজ দরকার নেই, দরকার একদিনের বেতন হলেও দান করা। আমরা পুলিশেরা খবর পেয়ে একটা মুমুর্ষ শিশুর চিকিৎসা দিচ্ছি, অন্য কেউ এগিয়ে আসেনি।
ওয়াজ মাহফিলে একজন পুলিশ জনাব মোহাম্মদের বয়ান শুনে অনেকেই অভিভূত হয়েছে। তার দাড়ি নেই, দ্বীনী ডিগ্রি নেই কিন্তু তার আছে আল্লাহর ওপর অগাধ বিশ্বাস আর মানবতাবোধ।