এতটুকু প্রস্তুতি নেই শিক্ষার্থী করবে কী স্কুল শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট তৈরি হয়নি, দেওয়া হচ্ছে না বাড়ির কাজ * ঢাবিতে করোনা পরীক্ষায় ৭০ ও রাবিতে ৫৭ শতাংশ শিক্ষার্থী পজিটিভ

এতটুকু প্রস্তুতি নেই, শিক্ষার্থী করবে কী
ফাইল ছবি

যথাযথ প্রস্তুতি আর পরিকল্পনা ছাড়াই বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ছুটি ঘোষণার নোটিশে শিক্ষা মন্ত্রণালয় অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার কথা বলেছে। কিন্তু দেশের সবখানে এ সুবিধা নেই। এর বিকল্প হিসাবে ছাত্রছাত্রীদের কাছে পৌঁছানোর অন্যতম উপায় হচ্ছে ‘অ্যাসাইনমেন্ট’ আর ‘বাড়ির কাজ’।

সেগুলো এখনো তৈরি হয়নি। অন্য দিকে পরীক্ষার মাঝপথে বন্ধের ঘোষণা মেনে নিতে পারেননি অনেক শিক্ষার্থী। তাই কমপক্ষে পরীক্ষা চালিয়ে নিতে তারা দু’দিন ধরে আন্দোলন করছেন। রোববারও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেছেন।

এদিকে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও খোলা আছে আবাসিক হল। সেখানে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনের চিত্র খুবই দুর্বল। খেলা-টিভি-পত্রিকা কক্ষে মাস্ক ছাড়াই চলাচল করছেন শিক্ষার্থীরা। সামাজিক দূরত্ব রক্ষার বালাই নেই। অনেক হলে আছে গণরুম।

সেখানে গাদাগাদি করে থাকছেন শিক্ষার্থীরা। কেউ কেউ জ্বর-কাশির মতো করোনার উপসর্গ নিয়ে বসবাস করছেন। কিন্তু সন্দেহ দূর করতে পরীক্ষা করানোতে আগ্রহ নেই। এতে আবাসিক হলগুলোতে দ্রুত সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। অবশ্য সংক্রমণের ভয়ে শিক্ষার্থীদের কেউ কেউ হল ছাড়ছেন। 

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ যুগান্তরকে বলেন, বিদেশে সবখানেই উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্বাভাবিক কার্যক্রম চলছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা লেখাপড়া করে তারা বয়সে বড়। তাদের ওপর আস্থা রাখতে চাই।

কিন্তু তারা যদি উপসর্গ উপেক্ষা করে তাহলে অবস্থা বিপজ্জনক হতে পারে। তিনি বলেন, অনলাইন না সশরীরে ক্লাস হবে বা আবাসিক হল খোলা থাকবে কিনা- সেটা সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় সিদ্ধান্ত নেবে। আগামী দুই সপ্তাহ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

এর মধ্যে সংক্রমণ কমে গেলে হয়তো স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম চলবে। না হলে সরকার পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে। করোনা সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার পর শুক্রবার দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করে সরকার। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, কেবল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজেদের মতো করে ব্যবস্থা নেবে।

এরপর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় সরাসরি শিক্ষা কার্যক্রম বাতিল করে অনলাইনে পরিচালনার কথা জানায়। পাশাপাশি পরীক্ষা স্থগিত করে। এই সিদ্ধান্তের পর শনিবার প্রথম প্রতিবাদ করে ঢাকার সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। তারা নীলক্ষেত সড়ক অবরোধ করেন।

পরে রোববার তাদের পরীক্ষা অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত জানায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। তবে আগের অবস্থানে আছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। এ অবস্থায় রোববার দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ হয়েছে। ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা।

সেশনজটের হাত থেকে বাঁচাতে পরীক্ষা চালু রাখতে সেখান থেকে দাবি জানানো হয়। একই দাবিতে বিভিন্ন সরকারি কলেজের ছাত্ররা সুনামগঞ্জে মানববন্ধন করেছেন।

সেখানে এক বছরের শিশু নিয়ে এক দম্পত্তি কর্মসূচিতে অংশ নেয়। প্রতিবাদ হিসাবে রাজশাহী নগরীর সাহেববাজার জিরো পয়েন্টে রাস্তায় প্রতীকী পরীক্ষা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এভাবে দেশের অন্যান্য স্থানেও কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি পর্যালোচনায় গত সপ্তাহে উপাচার্যদের নিয়ে বৈঠক করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি তখন হলে ও ক্যাম্পাসে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে গুরুত্বারোপ করেন। পাশাপাশি যারা আক্রান্ত হবে তাদের আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা ও ওষুধের ব্যবস্থা করার পরামর্শ দেন।

নেই প্রস্তুতি : বিগত দেড় বছরের ছুটিতে বিকল্প মাধ্যমে লেখাপড়া চালিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ ছিল শিক্ষার দুই মন্ত্রণালয়ের। প্রথমে টেলিভিশন ও পরে বেতারে পাঠদান শুরু করা হয়। পাশাপাশি অনলাইনে বিভিন্ন অ্যাপস ব্যবহার করে ক্লাস নেওয়া হয়।

এ অনলাইন ও দূরশিক্ষণ মাধ্যমে সবার কাছে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। এ অবস্থায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের জন্য ‘অ্যাসাইনমেন্ট’ আর প্রাথমিক স্তর ‘বাড়ির কাজ’ প্রথায় যায়।

অনেকটা সাফল্যও আসে। কিন্তু নতুন বছরের জন্য এখন পর্যন্ত কোনোটিই শুরু করা যায়নি। ফলে শহর পর্যায়ের কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বাদে অন্যত্র গত দু’দিন ধরে শিক্ষার্থীরা শিক্ষকের নাগালের বাইরে আছে।

বাড়ির কাজ আর অ্যাসাইনমেন্ট তৈরির কাজটি করে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। রোববার আলাপকালে এনসিটিবির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক মশিউজ্জামান যুগান্তরকে বলেন, অ্যাসাইনমেন্ট তৈরির সব প্রস্ততি সম্পন্ন করে রেখেছেন তারা।

কিন্তু এগুলো তৈরি করতে শিক্ষক-বিশেষজ্ঞসহ বিভিন্ন পর্যায়ের প্রতিনিধি নিয়ে বসতে হয়। যেটা সম্ভব হয়নি। এর মধ্যে এনসিটিবির চেয়ারম্যানের পদে পরিবর্তন এসেছে। সব মিলে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে কাজটি পিছিয়ে গেছে। তবে ৮-১০ দিনের মধ্যে দুই মাসের অ্যাসাইনমেন্ট তৈরি করে শিক্ষকদের কাছে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে। 

সংস্থাটির সদস্য (প্রাথমিক) অধ্যাপক ড. রিয়াজুল হাসান যুগান্তরকে বলেন, করোনা পরিস্থিতি সামনে রেখে তারা একটি ‘ব্লেন্ডেড লেসন রুটিন’ (মিশ্র পাঠ রুটিন) তৈরি করেছেন। সেটি গত বছরের ৮ মার্চ থেকে বাস্তবায়িত হওয়ার কথা।

এতে আগামী ২২ এপ্রিল পর্যন্ত বিস্তারিত পরিকল্পনা দেওয়া আছে। এতে বাড়ির কাজও অন্তর্ভুক্ত আছে। এর পরও করোনার কারণে ছুটি বেড়ে গেলে তখন ‘রিম্যাডিয়াল লেসন প্লান’ (ক্ষতিপূরণের পাঠপরিকল্পনা) করা হবে। তবে পরিকল্পনা যতই করা হোক না কেন, তা বাস্তবায়ন করতে হবে। সেদিকে জোর দেওয়া জরুরি।

উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মাহাদী হাসান জানান, করোনার উপসর্গে ভোগা শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি আবাসিক হলে অন্তত ২০ জন জ্বর ও ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত। এ ধরনের রোগে আক্রান্ত হলে হল প্রশাসনকে জানানোর নির্দেশনা আছে।

কিন্তু তারা প্রশাসনকে জানাননি। সংশ্লিষ্টরা জানান, হলগুলোতে করোনার উপসর্গে ভোগা শিক্ষার্থীর প্রকৃত সংখ্যা অর্ধশত হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ বুদ্ধিজীবী ড. মো. মোর্তজা মেডিকেল সেন্টারে ১০ দিনে ৩১১ জন ছাত্র, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৭৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণের হার ৫৫ শতাংশের বেশি।

আর এর মধ্যে শিক্ষার্থীদের নমুনা সংগ্রহ করা হয় ৯৬টি। যার ৬৭ জনেরই করোনা শনাক্ত হয়েছে। অর্থাৎ প্রায় ৭০ শতাংশের করোনা পাওয়া গেছে।

এ পরিস্থিতি সত্ত্বেও হলগুলোর গণরুমের মেঝেতে থাকছেন শিক্ষার্থীরা। রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হল, কবি জসীমউদ্দীন হল ও বিজয় একাত্তর হলে সরেজমিন ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়। বিপরীত দিকে পাশ করে যাওয়া রাজনৈতিক নেতারা এখনো বিভিন্ন কক্ষ দখল করে আছেন। 

প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি ও বিজয় একাত্তর হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আব্দুল বাছির যুগান্তরকে বলেন, শিক্ষার্থীদের অসুস্থতার হিসাব ওই রকম খাতাকলমে রাখছি না। হলে আমাদের যে স্বাস্থ্যসেবক রয়েছে তাদের সঙ্গে আমি প্রায় প্রতিদিনই কথা বলছি।

তাদের তথ্য মতে, আমার আবাসিক হলে ১৭-১৮ জনের মতো শিক্ষার্থী অসুস্থ আছে। অনেক শিক্ষার্থীই আছে তথ্য গোপন করে রাখে। ফলে প্রকৃত সংখ্যা এর বেশিও হতে পারে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মানিক রাইয়ান জানান, বুধবার শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের ৬৮টি নমুনা পরীক্ষায় ৩৯ জনেরই করোনা ধরা পড়ে। অর্থাৎ শনাক্তের হার ৫৭ শতাংশ। এর পরে নড়েচড়ে বসে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ১৯ জানুয়ারি হল খোলা রেখে ও অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

রাবিতে শিক্ষার্থীদের আবাসিক হল রয়েছে ১৭টি। বর্তমানে হলগুলোতে অবস্থান করছেন আট হাজারের বেশি শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ছয় ছাত্রী হলে প্রায় ৯০০ শিক্ষার্থী গণরুমে অবস্থান করছেন। যেখানে দুই বিছানার মাঝে মাত্র এক-দেড় ফুটের দূরত্ব।

এভাবে সাজানো রয়েছে ১৫, ২০, ৩০ বা ৫০টি বেড। আবার প্রতিটি বিছানায় দুজন করে থাকেন। শঙ্কা রয়েছে, গণরুমের কেউ একজন আক্রান্ত হলে পুরো কক্ষে দ্রুতই ছেয়ে যাবে। 

সশরীরে ক্লাস বন্ধ হওয়ার পর রাবির ছাত্রী হলে প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের অনেকেই হল ছাড়তে শুরু করেন। তবে অনার্স ও মাস্টার্সের শিক্ষার্থীরা হলেই আছেন। তারা মূলত চাকরির পড়ালেখা করছেন। অন্য দিকে ছাত্র হলে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়তে দেখা যায়নি।

রাবির প্রধান চিকিৎসক তবিবুর রহমান জানান, আবাসিক হলগুলোতে সচেতনতা বৃদ্ধির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে স্বাস্থ্যবিধি ও মাস্ক পরা নিশ্চিতকরণ, প্রবেশ ও প্রস্থানের সময় অবশ্যই হাত স্যানিটাইজেশন করতে বলা হয়েছে।

ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি সরকার মাসুম জানান, আবাসিক হলে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের প্রায় ২০ শতাংশ ঠান্ডাজনিত সর্দি, কাশি ও গলা ব্যথায় আক্রান্ত। এর মধ্য থেকে অনেকে স্বাভাবিক চিকিৎসা সেবা নিয়ে ২-৩ দিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠছেন।

আবার অনেকেরই করোনা টেস্টে রিপোর্ট পজিটিভ আসছে। তবে এখনো কেউ গুরুতর অসুস্থ হননি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তথ্য মতে, অন্তত সাত শিক্ষার্থী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রকৃত সংখ্যা এর থেকে অনেক বেশি।

ছাত্রী হলগুলোতে করোনা আক্রান্তের হার বেশি। এসব খবর জানার পর যেসব শিক্ষার্থীর পরীক্ষা চলমান নেই, তাদের অনেকে বাড়ি চলে গেছেন। যারা করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন তারা বাড়িতে গিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। অনেকে তথ্য গোপন করে নিজ তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

এ ছাড়া শিক্ষার্থীরা করোনা আক্রান্ত হওয়ার কারণে বেশ কয়েকটি বিভাগ পূর্বনির্ধারিত পরীক্ষা স্থগিত করে সূচি পরিবর্তন করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ সবাইকে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আযীযুল হক কলেজে মানববন্ধনে বাধা : বগুড়া ব্যুরো জানায়, বগুড়া সরকারি আযীযুল হক কলেজের শিক্ষার্থীরা রোববার বেলা ১১টার দিকে কলেজ ক্যাম্পাসে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান সব পরীক্ষা স্থগিত করার প্রতিবাদে মানববন্ধনে অংশ নেয়।

এ সময় কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর শাহজাহান আলী মানববন্ধন না করে আলোচনায় অংশ নিতে বলেন। তার পরও কিছু শিক্ষার্থী তাদের কর্মসূচি চালিয়ে নেওয়ার কথা বললে অধ্যক্ষের উপস্থিতিতে তাদের ব্যানার কেড়ে নেওয়া হয়।

পরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও তাদের কর্মসূচিতে বাধা দেয়। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডার ঘটনা ঘটে। এমনকি এসব ঘটনার সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে স্থানীয় এক পত্রিকার সংবাদকর্মীর সাথেও ধাক্কাধাক্কিতে জড়িয়ে পড়েন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *