এক বছরেই আউশ আবাদ বেড়েছে ২ লাখ হেক্টর

চলতি মৌসুমে সরকারি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি পরিমাণ জমিতে আবাদ হয়েছে আউশ ধানের। এক বছরের ব্যবধানে এ ধানের আবাদ বেড়েছে প্রায় দুই লাখ হেক্টর। ফলে চলতি মৌসুমে আউশ উৎপাদনে রেকর্ডের সম্ভাবনা দেখছে কৃষি মন্ত্রণালয়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নভেল করোনাভাইরাসের কারণে কৃষি উৎপাদন স্বাভাবিক রাখতে দুই মেয়াদে প্রণোদনা দেয়া, বীজ সরবরাহ ছাড়াও অন্যান্য উপকরণ সুবিধা দেয়ার কারণে মূলত উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বেশ কয়েকটি জেলায় এবার আউশের আবাদি জমির পরিমাণ বেড়েছে।

কৃষি মন্ত্রণালয় জানায়, বৈশ্বিক মহামারী করোনার প্রভাবে সম্ভাব্য খাদ্য সংকট মোকাবেলা করতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতি ইঞ্চি জমিতে ফসল ফলাতে নিরলসভাবে কাজ করছে মন্ত্রণালয়। সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ফলে করোনার মাঝেও লক্ষ্যমাত্রার অধিক বোরো ফসল সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছে। এখন আউশ ও আমন উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে চেষ্টা চলছে। এরই মধ্যে মাঠ পর্যায়ে আউশ ধানবীজ, আমন ধানবীজ, পাটবীজ, সার, সেচসহ বিভিন্ন প্রণোদনা কৃষকের মাঝে সুষ্ঠুভাবে বিতরণ করা হয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের সময়োপযোগী পদক্ষেপের ফলে চলতি মৌসুমে ১৩ লাখ ৩৬ হাজার ৫৬৬ হেক্টর জমিতে আউশ চাষ হয়েছে। এবার আউশ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৩ লাখ ২৯ হাজার ৬০০ হেক্টর। গত মৌসুমে ১১ লাখ ৩৪ হাজার হেক্টর জমিতে আউশ চাষ হয়েছিল। সে হিসাবে এবার আবাদ বেড়েছে দুই লাখ হেক্টর। গত মৌসুমে আউশ উৎপাদন হয়েছিল ৩০ লাখ ১২ হাজার টন। এবার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৬ লাখ ৪৪ হাজার ৮০০ টন। ফলে আশা করা হচ্ছে, গতবারের চেয়ে এবার আউশ উৎপাদন কয়েক লাখ টন বাড়বে।

আউশ আবাদ বৃদ্ধির জন্য ৩ লাখ ৮৩ হাজার ৪৩৪ জন কৃষককে কৃষি প্রণোদনার আওতায় বীজ ও সার এবং ৮২ হাজার ৪০০ জনকে বীজসহ মোট ৪ লাখ ৬৫ হাজার ৮৩৪ জন কৃষককে সরকারি সহায়তা হিসেবে কৃষি উপকরণ দেয়া হয়েছে। মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তারা করোনার দুর্যোগের মাঝেও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কৃষকের পাশে থেকে আউশ আবাদে উদ্বুদ্ধ করেছেন, সহায়তা করেছেন। পাশাপাশি যথাসময়ে বৃষ্টিপাত হওয়ায় আবহাওয়া আবাদের অনুকূলে ছিল এবং বোরো ধানের ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকরা ধান চাষে আগ্রহী হয়েছেন।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *