একনেকে ৪ হাজার কোটি টাকার ১০ প্রকল্প অনুমোদন

৪ হাজার ১৬৬ কোটি ৬১ লাখ টাকা ব্যয়ে ১০ প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। তবে অনুমোদিত প্রকল্পের মধ্যে গাজীপুর জেলা ও সিটি করপোরেশনের উন্নয়নে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে দুটি প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে।

গতকাল রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠকে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

একনেকে অনুমোদিত প্রকল্প: সাপোর্ট টু জয়দেবপুর-দেবগ্রাম-ভুলতা-মদনপুর সড়ক পিপিপি প্রকল্পের ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে ৪৩৮ কোটি ২৪ লাখ টাকা। এখন মোট ব্যয় হবে ৬৭৪ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। ৩৭১ কোটি ১৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘নোয়াখালী সড়ক বিভাগাধীন ক্ষতিগ্রস্ত কবিরহাট-ছমির মুন্সীরহাট-সোনাইমুড়ী সড়ক (জেড-১৪১০) এবং সেনবাগ-বেগমগঞ্জ গ্যাসফিল্ড-সোনাইমুড়ী সড়ক (জেড-১৪৪৬) উন্নয়ন’ প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে। এছাড়া গোপালগঞ্জ জেলার পল্লী এলাকার নিরাপদ পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যয় ২৬১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য এবং বিভিন্ন অঞ্চলে বাস-ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণের জন্য জমি অধিগ্রহণ প্রকল্পে ব্যয় ৭৮২ কোটি ২৫ লাখ টাকা।

এছাড়া বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যয় ৯০ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যয় ৩৪৬ কোটি ৩২ লাখ টাকা। সম্পূর্ণ বৃক্ষে উন্নতমানের আগর রেজিন সঞ্চয়ন প্রযুক্তি উদ্ভাবন প্রকল্পের ব্যয় ৬৭ কোটি ৯২ লাখ টাকা। গাজীপুর জেলা পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যয় ৬৮৫ কোটি টাকা। গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের (টাঙ্গাইল জেলা) ব্যয় ৮৬৫ কোটি ৬৪ লাখ টাকা এবং রংপুর, নীলফামারী, পীরগঞ্জ শহর ও তত্সংলগ্ন এলাকায় গ্যাস বিতরণ পাইপলাইন নেটওয়ার্ক নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২৫৮ কোটি ১১ লাখ টাকা।

পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, ঢাকা-বাইপাস সড়ক বাস্তবায়নে কোমর বেঁধে নামার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের নির্দেশ দিয়েছেন। লবণাক্ত এলাকায় শস্য চাষাবাদ, খাবার ও যেকোনো ব্যবহারে লবণ পানি থেকে দূরে থাকতে হবে। ঢাকার খুব কাছে গাজীপুর জেলা। সেই শহরটি অগোছালোভাবে হয়েছে। এটাকে সুন্দর করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। গবেষণার নির্দেশ দিয়ে বলেছেন, দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বেশি গবেষণা করতে হবে।

পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে দুর্যোগ প্রশমনে বঙ্গবন্ধু শীর্ষক একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয় একনেক বৈঠক শুরুর আগেই। এ বইয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ও দুর্যোগ বিষয়ে যেসব অনুশাসন দিয়েছিলেন বা কথা বলেছিলেন সেগুলো সুন্দরভাবে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়া জাতিসংঘের মূল্যায়নে এসডিজি বাস্তবায়নে বাংলাদেশের অগ্রগতি অর্জনের বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে। এক্ষেত্রে আমরা প্রতিবেশী ভারতসহ কয়েকটি দেশের তুলনায় এগিয়ে আছি। প্রধানমন্ত্রী এমন একজন ব্যক্তি যিনি এমডিজি ও এসডিজি দুটি ডকুমেন্টেই স্বাক্ষর করেছেন। বিশ্বে এ রকম সৌভাগ্যবান নেতা সম্ভবত আর একজন আছেন।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *