উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ভারী বর্ষণ, বন্যার অবনতির আশঙ্কা

ঢাকা: মাঝে বৃষ্টিপাত কমে যাওয়ায় উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতির দিকে যাচ্ছিল। কিন্তু আবারো শুরু হয়েছে অতিভারী বর্ষণ। ফলে উত্তরের বন্যা পরিস্থিতি পুনরায় অবনতি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) আবহাওয়াবিদ একেএম নাজমুল হক জানান, বাংলাদেশের উত্তরাংশে মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকার কারণে শুক্রবার নাগাদ রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী (৪৪-৮৮ মিমি) থেকে অতিভারী (২৮৯ মিমি) বর্ষণ হতে পারে।

এক পূর্বাভাসে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মৌসুমি বায়ুর অক্ষ রাজস্থান, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, হিমালয়ের পাদদেশীয়, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। আর মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় বিরাজ করছে।

এ অবস্থায় শুক্রবার নাগাদ রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় রাজশাহী বিভাগের অনেক জায়গায়; ঢাকা, খুলনা চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের উত্তরাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে।

তবে ভারী বর্ষণের কারণে সিলেটে পাহাড়ি অঞ্চলে ভূমি ধসের কোনো আশঙ্কা নেই।

এদিকে রংপুর, দিনাজপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলের উপর দিয়ে দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিমি বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই এ সব এলাকার নদীবন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রধান নদ-নদী ব্যতীত দেশের প্রায় সব প্রধান নদ-নদীর পানি এখনো বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যমুনা, ব্রহ্মপুত্র, পদ্মার পানিতে প্লাবিত উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে অন্তত ১০ জেলা। বন্যার পানি সরেনি উত্তর-পূর্বাঞ্চলেও। এ অবস্থায় অতিভারী বর্ষণে সেই এলাকায় পুনরায় বন্যা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

বুধবার রাত থেকে এখন পর্যন্ত দেশে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ডিমলায়, ২০২ মিলিমিটার। এলাকাটির তিস্তার নদীর পানি বেড়ে গিয়েই দেশে প্রথম বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

অন্যদিকে রাজধানীসহ দেশের বেশকিছু এলাকায় গত চারদিনে বৃষ্টিপাত বেশ কমেছে। রয়েছে প্রথম সূর্যকিরণ। তারওপর বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণও বেশি। রাজধানীতে বৃহস্পতিবার সকালে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৯৩ শতাংশ। ফলে গরম অনুভূত হচ্ছে বেশি। তবে তাপমাত্রাও কিছুটা বেড়েছে।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *