আফ্রিকার বাজারে স্মার্টফোন সরবরাহ কমেছে

চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের তুলনায় তৃতীয় প্রান্তিকে আফ্রিকার স্মার্টফোনের বাজারে নতুন চালান কমেছে ২ দশমিক ৩ শতাংশ। ইন্টারন্যাশনাল ডাটা করপোরেশনের (আইডিসি) সর্বশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। চলতি বছরের প্রথমার্ধে অঞ্চলটির স্মার্টফোনের বাজারের পুনরুদ্ধারে বেশ চাঙ্গা ভাব লক্ষ করা গিয়েছিল। কিন্তু চিপ সংকট ও উপকরণের স্বল্পতায় তৃতীয় প্রান্তিকে অঞ্চলটিতে স্মার্টফোনের আমদানি চালান কমে এসেছে।

অন্যদিকে আফ্রিকার বাজারে ফিচার ফোনের বাজারে বেশ উন্নতি লক্ষ করা গেছে। পূর্ববর্তী প্রান্তিকের তুলনায় তৃতীয় প্রান্তিকে অঞ্চলটিতে ফিচার ফোনের বাজার বেড়েছে ১৪ দশমিক ২ শতাংশ। স্মার্টফোনের বাজারে ক্রমাগত দাম বাড়ার ধারাবাহিকতায় সামনের প্রান্তিকে আরো বাড়ার আশঙ্কা করছে সংশ্লিষ্টরা। এমন পরিস্থিতিতে ফিচার ফোনগুলো ভোক্তার কাছে আরো আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে।

তৃতীয় প্রান্তিকে আফ্রিকার শীর্ষ তিনটি বাজারে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। পূর্ববর্তী প্রান্তিকের তুলনায় তৃতীয় প্রান্তিকে মিসরে স্মার্টফোনের চালান কমেছে ১৯ দশমিক ৫ শতাংশ। একই সময়ে নাইজেরিয়ার বাজারে স্মার্টফোনের চালান কমেছে ৯ দশমিক ৪ শতাংশ। উভয় দেশের স্মার্টফোনের বাজারেই চীনে উৎপাদিত স্মার্টফোনের দখল বেশ ভালো পরিমাণে রয়েছে। ফলে চীনা পণ্যের জাহাজীকরণ ও উপকরণ সংকটের ফলে এসব দেশের বাজারে স্মার্টফোনের বেচাকেনায় ঘাটতি পড়েছে।

অন্যদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার বাজারে একই সময়ে স্মার্টফোনের চালান বেড়েছে ২৮ দশমিক ৪ শতাংশ। বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের তুলনায় তৃতীয় প্রান্তিকে এ প্রবৃদ্ধি লক্ষ করা যায়। দেশটিতে ফিনিশ মোবাইল ফোন জায়ান্ট নকিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রযুক্তি জায়ান্ট স্যামসাংয়ের তৈরি স্মার্টফোনের বেশ ভালো সরবরাহ ছিল। একই সময়ে আফ্রিকার বাজারে শীর্ষ স্থানে ছিল ট্রানশন ব্র্যান্ড (টেকনো, আইটেল ও ইনফিনিক্স)। এ সময় স্মার্টফোনের বাজারে কোম্পানিটির দখল ছিল ৪৭ দশমিক ৪ শতাংশ। ধারাবাহিক চালান ধরে রাখায় অঞ্চলটিতে এমন আধিপত্য বিস্তার করেছে কোম্পানিটি। তৃতীয় প্রান্তিকে স্যামসাংয়ের শেয়ার ছিল ২১ দশমিক ৩ শতাংশ। এ সময়ে বাজারে শেয়ার কমেছে চীনা প্রযুক্তি জায়ান্ট শাওমির, তৃতীয় প্রান্তিকে তৃতীয় অবস্থানে থেকে কোম্পানিটির বাজার শেয়ার ছিল ৬ দশমিক ১ শতাংশ।

এ সময়ে আফ্রিকায় স্মার্টফোনের গড় বিক্রয় দামও কমেছে। পূর্ববর্তী প্রান্তিকের তুলনায় তৃতীয় প্রান্তিকে দাম কমার হার ছিল দশমিক ৭ শতাংশ। বিভিন্ন কোম্পানির নতুন মডেলের ফোনগুলো প্রান্তিক দামে উন্মোচন করায় এমনটা লক্ষ করা গেছে। তৃতীয় প্রান্তিকে ১০০ ডলার পর্যন্ত দামে ফোনগুলোর চালান বেড়েছে ৫ দশমিক ৯ শতাংশ। এ সময় ১০০ থেকে ২০০ ডলার পর্যন্ত দামের স্মার্টফোনের চালান কমেছে যথাক্রমে ১৪ দশমিক ১ শতাংশ ও দশমিক ৭ শতাংশ।

তৃতীয় প্রান্তিকে আফ্রিকায় চালান হওয়া স্মার্টফোনগুলোর ৮১ শতাংশ ছিল ফোরজি প্রযুক্তির। এ সময় থ্রিজি প্রযুক্তির স্মার্টফোনের চালান ছিল ১৫ দশমিক ৯ শতাংশ ও ফাইভজি প্রযুক্তির স্মার্টফোনের চালান ছিল মাত্র ৩ দশমিক ১ শতাংশ।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *