আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেল কেরানীগঞ্জের লাল মসজিদ

ডেস্ক রিপোর্ট: লাল মসজিদ নামে পরিচিত কেরানীগঞ্জের দোলেশ্বর হানাফিয়া জামে মসজিদ মুসলিম স্থাপত্যের নিদর্শন হিসেবে মর্যাদাপূর্ণ আব্দুল লতিফ আল ফোজান পুরস্কার অর্জন করেছে। সারা বিশ্ব থেকে সাতটি মসজিদকে এ পুরস্কার দেয়া হয়, তার মধ্যে কেরানীগঞ্জের দোলেশ্বরের লাল মসজিদ অন্যতম। আল মদিনা আল মনোয়ারায় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অ্যাওয়ার্ড ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রিন্স সুলতান বিন সালমান এবং মদিনা রিজিয়নের গভর্নর প্রিন্স ফয়সাল বিন সালমান। বাংলানিউজ২৪

তিন মহাদেশ থেকে ৪৩ দেশের মোট ২০১টি মসজিদ এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিল। তার মধ্যে ২৭টি মসজিদের সংক্ষিপ্ত তালিকা থেকে দোলেশ্বর হানাফিয়া মসজিদকে (লাল মসজিদ) এ পুরস্কার দেওয়া হয়।

সম্প্রতি, আলমদিনা আলমনোয়ারাতে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অ্যাওয়ার্ড ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রিন্স সুলতান বিন সালমান এবং মদিনা রিজিওনের গভর্নর প্রিন্স ফয়সাল বিন সালমান।

২০২১ সালে ডিসেম্বর মাসের প্রথম দিনেই লাল মসজিদটির পাশের পুরাতন মসজিদটির জন্য ‘UNESCO Asia-Pacific Awards 2021 Cycle for Cultural Heritage Conservation’ – পুরস্কার অর্জন করেছে। মাত্র কিছুদিনের ব্যবধানে নতুন এবং পুরাতন মসজিদ দুটি স্থাপনা বিশ্বের মর্যদাপূর্ণ দুটি পুরস্কার অর্জন করেছে। পুরাতন মসজিদটি সংস্কার ও সংরক্ষণের জন্য স্থপতি সাঈদ মোস্তাক আহমেদ ‘দ্য অ্যাওয়ার্ড অব মেরিট’ পুরস্কার পেয়েছেন।বিশ্ব পর্যটন দিবস আজ: প্রতিপাদ্য ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধিতে পর্যটন’[১] এ বছর শীতেই আসবে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট, ফ্রান্সের বিশেষজ্ঞদের সতর্কবার্তামঞ্জুরে খোদা টরিক: দেশের রাজনীতি কেন বিদেশের মাটিতে করতে হবে?

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের পূর্ব পুরুষদের হাত ধরে ১৮৬৮ সালে মসজিদটি নির্মিত হয়। ১৯৬৮ সালে মিনারসহ মসজিদটির বর্ধিতাংশ নির্মাণ করেন নসরুল হামিদের বাবা অধ্যাপক হামিদুর রহমান। পুরাতন মসজিদের পাশেই নির্মাণ করা হয় আধুনিক একটি মসজিদ যা লাল মসজিদ নামে পরিচিত। মসজিদটিতে সূর্যের আলো অধিক ব্যবহৃত হয় এবং এয়ার কন্ডিশনারের প্রয়োজন হয় না। স্থপতি কাশেফ চৌধুরীকে লাল মসজিদ নির্মাণের দায়িত্ব দেওয়া হয়। মুসলিম বিশ্বে অনন্য মসজিদ স্থাপত্য শিল্পের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নান্দনিক নিদর্শন হিসেবে বিজয়ী হয়েছে বাংলাদেশের কেরাণীগঞ্জে অবস্থিত লাল মসজিদ এবং এর স্থপতি কাশেফ চৌধুরী অর্জন করেছেন ক্রেস্ট ও সম্মাননাপত্র।

মসজিদটি দর্শনার্থীদের কাছেও আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। অনেক দর্শনার্থী মসজিদটি দেখতে যাচ্ছেন। মসজিদটিকে সংস্কার করে পুরোনো রূপ ঠিক রেখে আধুনিকায়নের উদ্যোগ নেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ঐতিহ্য সংরক্ষণ করেই আধুনিকায়ন করতে হবে। ব্যক্তিগতভাবে আমি খুবই আনন্দিত, এই মসজিদ দুটির সঙ্গে দেড়শো বছরের বেশি সময় ধরে আমাদের পারিবারিক ঐহিত্য ও আবেগ জড়িয়ে আছে। যা এখন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাচ্ছে একের পর এক।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *