অর্থবছরের ১১ মাসে রাজস্ব ঘাটতি ২৯২ কোটি টাকা

চলতি অর্থবছর (জুন ’২১-জুলাই ’২২) শেষ হতে বাকি মাত্র এক মাস। এ সময়ের মধ্যে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরের রাজস্ব ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৯২ কোটি টাকা। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে বন্দরটি ব্যবহার করে রাজস্ব ঘাটতির হার অন্তত ৩০ শতাংশ।

ভোমরা শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব শাখা থেকে জানা গিয়েছে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কর্তৃক চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে মে মাস পর্যন্ত ভোমরা বন্দরে রাজস্ব আদায় লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৯৮৫ কোটি ৪ লাখ টাকা। নির্ধারিত এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে গত ১১ মাসে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৬৯২ কোটি ৯৩ লাখ টাকা।

২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ভোমরা বন্দর ব্যবহার করে রাজস্ব আদায় করা হয়েছে ৪৪ কোটি ৫২ লাখ টাকা, আগস্টে ৫৭ কোটি ৬৩ লাখ, সেপ্টেম্বরে ৭৩ কোটি ৩০ লাখ, অক্টোবরে ৭১ কোটি ২৮ লাখ, নভেম্বরে ৭৪ কোটি ২৮ লাখ, ডিসেম্বরে ৫৫ কোটি ২৭ লাখ, জানুয়ারিতে ৫৯ কোটি ২০ লাখ, ফেব্রুয়ারিতে ৬২ কোটি ৪১ লাখ, মার্চে ৯৩ কোটি ৯৮ লাখ, এপ্রিলে ৫৭ কোটি ৪৬ লাখ এবং মে মাসে ৪৩ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। উল্লিখিত পরিমাণ রাজস্ব আদায়ে এনবিআরের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ঘাটতি পড়েছে ২৯২ কোটি ১১ লাখ টাকা।

বন্দর সূত্র আরো জানায়, গত অর্থবছরের ১১ মাসে রাজস্ব আয় হয়েছিল ৭২৭ কোটি ৩৬ লাখ টাকা, যা চলতি অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৩৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকা বেশি।

ভোমরা সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কাজি দিলওয়ার নওশাদ রাজু জানান, ভোমরা বন্দর অনেক সম্ভাবনাময় হওয়ার পরও সরকারের বিপুল পরিমাণ টাকা রাজস্ব ঘাটতি পড়েছে। এ ঘাটতির অন্যতম কারণ হচ্ছে বন্দরটি ব্যবহার করে সব ধরনের পণ্য আমদানি করতে না দেয়া। তিনি আরো বলেন, ব্যবসায়ীদের সব পণ্য আমদানি করতে দেয়া হলে ব্যবসায়ীরা যেমন লাভবান হবেন, তেমনি সরকারের রাজস্বও অনেকাংশে বেড়ে যাবে। এছাড়া এ বন্দরে পণ্য আমদানিতে নানা বৈষম্যের কারণে বন্দরে কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব আদায় হচ্ছে না বলেও মন্তব্য করেন এ ব্যবসায়ী।

এ ব্যাপারে ভোমরা শুল্ক স্টেশনের দায়িত্বরত কাস্টমসের বিভাগীয় সহকারী কমিশনার আমীর মামুন জানান, বৈশ্বিক মহামারী করোনাসহ নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে চলতি অর্থবছরের ১১ মাস অতিবাহিত হয়েছে। এ সময়ে ব্যবসা-বাণিজ্য মন্দা যাওয়ায় নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রাজস্ব আদায় করা সম্ভব হয়নি। তিনি বলেন, বন্দর ব্যবহারকারীদের পণ্য আমদানি-রফতানির ওপর মূলত রাজস্ব বেশি-কম হয়ে থাকে।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *