অভিযান-১০ এর ৩ মালিককে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন

নৌ-আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত হাজতি আসামি এমভি অভিযান-১০ লঞ্চের তিন মালিককে শ্যোন অ্যারেস্ট (গ্রেফতার দেখানো) দেখিয়ে আবেদন করেছে নৌ-অধিদপ্তর।

আসামিরা হলেন- হামজালাল শেখ (৫৫), শামীম আহমেদ (৪৩) ও রাসেল আহম্মেদ (৪৩)।
তারা হাজতে থাকায় বিচারের জন্য তাদের ‘শ্যোন অ্যারেস্ট’ দেখিয়ে কারাগার থেকে আদালতে আনতে আবেদন করা হয়।

মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) অধিদপ্তরের পক্ষে প্রসিকিউটিং অফিসার বেল্লাল হোসাইন মতিঝিলে অবস্থিত নৌ-আদালতে এ আবেদন দাখিল করেন।

এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের বিচারক জয়নাব বেগম আসামিদের আগামী ১৯ জানুয়ারি আদালতে হাজির করতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষকে আদেশ দেন।

ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার মামলায় এর আগে গ্রেফতার ড্রাইভারসহ দুইজনকে কারাগারে পাঠানো হয়। গত সপ্তাহে লঞ্চের মাস্টারদ্বয় আত্মসমর্পণ করার পর জেলহাজতে পাঠানো হয়েছিল। বর্তমানে তারা ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন।

ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ও হতাহতের ঘটনায় লঞ্চের মালিক হামজালাল শেখসহ আটজনের বিরুদ্ধে গত ২৬ ডিসেম্বর গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

পরোয়ানা জারি হওয়া অন্য আসামিরা হলেন- ওই জাহাজের ইনচার্জ মাস্টার রিয়াজ সিকদার, ইনচার্জ ড্রাইভার মাসুম বিল্লাহ, সেকেন্ড মাস্টার খলিলুর রহমান, সেকেন্ড ড্রাইভার আবুল কালাম, শামীম আহাম্মেদ, রাসেল আহম্মেদ ও ফেরদৌস হাসান রাব্বি। দুজন চালক ও দুজন মাস্টার ছাড়া বাকিরা নৌযানটির মালিক।

এদিন নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের প্রধান পরিদর্শক শফিকুর রহমান বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় আসামিদের নামে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-নিরাপত্তা অধ্যাদেশ ১৯৭৬ (সংশোধিত ২০০৫) এর ৫৬, ৬৬, ৬৯ ও ৭০ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। এসব ধারায় আসামিদের সর্বোচ্চ পাঁচ বছর কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *