অভিযানে ১৯ মামলায় প্রায় ২ লাখ টাকা আদায়

টানা ২১ দিনের মতো ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, অবৈধ কেবল অপসারণ ও এডিস মশার প্রজননস্থল শনাক্তকরণে ভ্রাম্যমাণ আদালতগুলোর অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। মঙ্গলবার নগর ভবনের সামনের রাস্তা, ফুলবাড়িয়া ফ্লাইওভারের নিচে, বিআরটিসি বাস কাউন্টারের সামনে, নগর ভবনের পেছনের সাইডে ফুটপাতের ওপর, ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনে এবং বেইলি রোড হতে রাজারবাগ হয়ে মালিবাগ মোড় পর্যন্ত অবৈধ স্থাপনা-দোকানপাট উচ্ছেদ এবং অবৈধ কেবল অপসারণ করা হয়েছে। এ অভিযানে ১৯টি মামলায় ১ লাখ ৮৫ টাকা আদায় করা হয়েছে।

ডিএসসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এএইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে পরিচালিত এ অভিযানে নগর ভবনের সামনের রাস্তা, ফুলবাড়িয়া ফ্লাইওভারের নিচে, বিআরটিসি বাস কাউন্টারের সামনে, নগর ভবনের পেছনের সাইডে ফুটপাতের ওপর এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনে অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ ও ইলেকট্রিক পোল হতে অবৈধ কেবল অপসারণ করেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এএইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বাধীন ভ্রাম্যমাণ আদালত ফুলবাড়িয়ায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে গেলে আব্দুল কাদের নামে এক ব্যক্তি তাতে বাধা দেন। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত সরকারি কাজে বাধাদান করায় দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ১৮৬ ধারা অনুযায়ী তাকে আটদিনের জেলের আদেশ দেন। একই সঙ্গে ভ্রাম্যমাণ আদালত নগর ভবনের সামনের রাস্তা ও ফুটপাতে অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ করতে গেলে মো. রুবেল নামের এক ব্যক্তি তা অমান্য করেন। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে সরকারি নির্দেশ অমান্য করায় দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ১৮৮ ধারা মোতাবেক সাতদিনের জেলের আদেশ দেন। এছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালত শতাধিক অবৈধ স্থাপনার দোকানপাট উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে ফুটপাত দখলমুক্ত করেন। এছাড়া মাস্ক না পরাসহ বিভিন্ন অপরাধে আরো চারটি মামলা দেন এবং নগদ ২ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করেন।

একই সময়ে ডিএসসিসির সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন ভ্রাম্যমাণ আদালত বেইলি রোড হতে রাজারবাগ হয়ে মালিবাগ মোড় পর্যন্ত অবৈধ স্থাপনা ও দোকানপাট উচ্ছেদ এবং অবৈধ কেবল অপসারণে অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় ২০টি ইলেকট্রিক পোল হতে সব অবৈধ কেবল অপসারণ ও অর্ধ শতাধিক অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ করে ফুটপাত দখলমুক্ত করেন। এ সময় তিনি সিটি করপোরেশন (স্থানীয় সরকার) আইন, ২০০৯ এর ৭ ধারা মোতাবেক সাতটি মামলা দায়ের ও ৫ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করেন।

এদিকে মশার প্রজননস্থল শনাক্তকরণে করপোরেশনের দুটি ভ্রাম্যমাণ আদালত অঞ্চল-৩ ও ৬-এ অভিযান পরিচালনা অব্যাহত রেখেছেন। অঞ্চল-৩-এর হাজারীবাগ এলাকায় করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বিতান কুমার মণ্ডল গতকাল ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এ সময় তিনি চারটি স্থাপনা পরিদর্শন করে চারটি স্থাপনাতেই এডিস মশার লার্ভা দেখতে পান। অভিযানকালে ভ্রাম্যমাণ আদালত দুটি মামলায় নগদ ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন। অঞ্চল-৬-এর ৭৪ নং ওয়ার্ডের পশ্চিম নন্দীপাড়া এলাকায় করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাজমুল আহসানের নেতৃত্বাধীন ভ্রাম্যমাণ আদালত চারটি স্থাপনা পরিদর্শন করেন।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *