ইতালিয়ান সিরি আ’র ম্যাচে জুভেন্টাসকে আতিথ্য দিয়েছিলো তোরিনো। প্রতিপক্ষের মাঠে শুরুতে লিড নিয়েও দুই গোল খেয়ে হারের শঙ্কায় পড়ে আন্দ্রে পিরলোর শিষ্যরা। এরপর খেলার শেষ দিকে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর গোলে হার এড়ায় জুভেন্টাস। ২-২ গোলের ড্রয়ে পয়েন্ট টেবিলের চারে নেমে গিয়েছে তুরিনের বুড়িরা।
ম্যাচের ত্রয়োদশ মিনিটে লিড নেয় সফরকারী জুভেন্টাস। আলভারো মোরাতার পাস ধরে ডি-বক্সে দুজনের বাধা এড়িয়ে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন ফেদেরিকো চিয়েসা।
২৭তম মিনিটে সমতায় ফেরে তোরিনো। ডি-বক্সের বাইরে থেকে রোলান্দো মান্দাগোরার নিচু শট গোলরক্ষক ভয়চখ স্ট্যাসনি ঝাঁপিয়ে ঠেকাতে চাইলে বল তার হাতে লেগে উঠে যায়। গোলমুখে ছুটে গিয়ে হেডে বল জালে জড়ান সানাব্রিয়া।
৪৩ মিনিটে ডান দিক থেকে হুয়ান কুয়াদরাদোর দারুণ ক্রসে মোরাতার হেড ঝাঁপিয়ে ঠেকান গোলরক্ষক। দুই মিনিট পর তাদের আরেকটি প্রচেষ্টাও পোস্টের একটু বাইরে দিয়ে যায়।
বিরতি থেকে ফিরেই এগিয়ে যায় তোরিনো।
৪৬তম মিনিটে সানাব্রিয়া নিজের জোড়া গোল পূর্ণ করে লিড এনে দেন দলকে।
এর কিছুক্ষণ পর দারুণ দুটি সুযোগ পায় জুভেন্টাস। কিন্তু তোরিনোর গোলরক্ষকের নৈপুণ্যে ব্যর্থ হন রোনালদো-চিয়েসারা। তবে ৭৯তম মিনিটে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে আর আটকাতে পারেনি তোরিনো গোলরক্ষক। সহজ হেডে রোনালদো বল জড়িয়ে দেন জালে। এই গোল হারের লজ্জা থেকে বাঁচায় তুরিনের দলটিকে।
অবশ্য গোলটি পেতে ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির সহায়তা নিতে হয়েছিল জুভেন্টাসকে। রোনালদো গোল করার পর অফসাইডের পতাকা তুলেছিলেন লাইন্সম্যান। পরে ভিএআরএ টিকে যায় রোনালদোর গোলটি। তাতে আসরে ২৪ গোল নিয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতা পর্তুগিজ সুপারস্টার।
এই ড্রয়ে পয়েন্ট টেবিলের চতুর্থ স্থানে নেমে গেছে জুভেন্টাস। ২৮ ম্যাচ থেকে তাদের সংগ্রহ ৫৬ পয়েন্ট। এক ম্যাচ বেশি খেলে ৫৮ পয়েন্ট নিয়ে তিনে আছে আতালান্তা। সমান ম্যাচ থেকে ৬০ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে মিলান। আর ২৭ ম্যাচ থেকে ৬৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে ইন্টার মিলান।