রাশিয়ার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ ইইউ এবং অ্যামেরিকার। নাভালনির নিঃশর্ত মুক্তি দাবি। নাভালনি মামলায় এবার রাশিয়ার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিল অ্যামেরিকা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন। পুটিনের দেশের একাধিক কর্মকর্তা এবং সংস্থার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলো। নাভালনির গ্রেফতারের প্রেক্ষিতে এই পদক্ষেপ। রাশিয়া জানিয়েছে, এই পদক্ষেপ বাস্তবসম্মত নয়। অন্যদিকে যুক্তরাজ্য জানিয়েছে, তারা অ্যামেরিকা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের পদক্ষেপকে সমর্থন করে। যদিও যুক্তরাজ্য রাশিয়ার বিরুদ্ধে এখনো কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।
রাশিয়ার পুটিন-বিরোধী রাজনীতিক নাভালনি। পুটিনের বিরুদ্ধে একাধিক ব্লগ লিখেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, তার সংস্থা তদন্তমূলক রিপোর্টে প্রকাশ করেছে, কীভাবে কালো টাকায় আস্ত একটি প্রাসাদ কিনেছেন পুটিন। এই পরিস্থিতিতে গত বছর নাভালনিকে প্রশাসন বিষ দিয়ে মারার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। অসুস্থ নাভালনিকে জার্মানিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসার পর তিনি সুস্থ হন। জার্মানি জানায়, এই কাজের জন্য পুটিনকে জবাব দিতে হবে।
রাশিয়ার বিরোধী রাজনীতিবিদ, আইনজীবী এবং দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনের কর্মী আলেক্সেই নাভালনি গত ২০ আগস্ট টোমাস্ক থেকে মস্কো যাওয়ার পথে বিমানে অজ্ঞান হয়ে যান৷ ১৮ দিন হাসপাতালে কোমায় ছিলেন৷ হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলে গোপনে জার্মানিতে নিয়ে আসা হয় তাকে৷ বার্লিনে দীর্ঘ চিকিৎসার পর নাভালনি এখন সুস্থ৷
[১] উন্নত দেশের সাথে তুলনা করলে আমাদের স্বাস্থ্যসেবা যথেষ্ট দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে: প্রধানমন্ত্রী ≣ [১] খাবার সংগ্রহে দিনমজুরদের সংগ্রামের কাছে পরাজিত করোনার ভয় ≣ ‘আইজিপি ব্যাজ’ পাচ্ছেন পুলিশের ৫৯৫ জন
নাভালনি দেশে ফিরতেই পুটিনের প্রশাসন তাকে গ্রেপ্তার করে। আদালতে তার সাজা হয়। এর পরেই একদিকে দেশজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়, অন্যদিকে আন্তর্জাতিক চাপ বাড়তে থাকে। মঙ্গলবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং অ্যামেরিকা তারই জেরে রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল।
ইউরোপাীয় ইউনিয়ন রাশিয়ার কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। তার মধ্যে রাশিয়ান ফেডেরেশনের ইনভেস্টিগেটিভ কমিটির প্রধান আলেকজান্ডার বাস্ত্রিকিন আছেন। এছাড়াও প্রসিকিউটর জেনারেল ইগোর ক্রাসনোভ, ন্যাশনাল গার্ডের প্রধান ভিক্টর জোলোটোভ, ফেডারেল প্রিসন সার্ভিসের প্রধান আলেকজান্ডার কালশনিকভ আছেন। ইইউ রাশিয়ার কোনো সংস্থার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেনি।
অ্যামেরিকা সাতজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। একই সঙ্গে ১৩টি কোম্পানি বা সংস্থার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। অ্যামেরিকার দাবি, ওই সংস্থাগুলি নার্ভ গ্যাস এবং বায়ো অস্ত্র তৈরির সঙ্গে যুক্ত।
জো বাইডেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরে এটাই রাশিয়ার বিরুদ্ধে তার সব চেয়ে বড় পদক্ষেপ। মঙ্গলবার বাইডেনের প্রশাসন বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে, অ্যামেরিকা দ্রুত নাভালনির মুক্তি চাইছে। এরপরেও রাশিয়া কোনো ব্যবস্থা না নিলে আরো কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
জার্মানি দীর্ঘদিন ধরেই নাভালনি মামলায় রাশিয়ার উপর চাপ সৃষ্টি করছে। তারই মধ্যে ইইউ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। ফলে ভ্লাদিমির পুটিনের উপর অনেকদিন ধরেই চাপ রয়েছে। কিন্তু তাতেও লাভ হয়নি। মঙ্গলবার নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ার পরে পুটিনের প্রশাসন জানিয়েছে, যে ভাবে অ্যামেরিকা এবং ইইউ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, তা বাস্তবসম্মত নয়। তারা এর সমালোচনা করছে। অ্যামেরিকা এবং ইইউ-র দাবি মানারও প্রশ্ন উঠছে না।