মুরাদনগরে সূর্যমুখী চাষে সফলতার হাতছানি

কৃষকদের সূর্যমুখী চাষে উদ্বুদ্ধ করতে মুরাদনগর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বীজ ও সার প্রণোদনা দিয়ে উপজেলার ১১ হেক্টর জমিতে কৃষকদের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো চাষ করেছেন সূর্যমুখী।

[৩] আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় সূর্যমুখী ফুলের হাসিতে প্রস্ফুটিত উপজেলার সূর্যমুখী কৃষি মাঠ। সূর্যমুখী চাষ অনেক সহজলভ্য ও উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় কৃষকেরা এতে আগ্রহী হয়ে উঠেবেন বলে মনে করছেন কৃষি অধিদপ্তর।

[৪] উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, সূর্যমুখী চাষাবাদ কৃষকের কাছে জনপ্রিয় করে তুলতে উপজেলার ১৪ ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের ৭০ জন কৃষককে এই প্রণোদনার সুবিধা দেওয়া হয়। এর মধ্যে উপজেলার আন্দিকোট , রামচন্দ্রপুর উত্তর, রামচন্দ্রপুর দক্ষিন, পূর্বধৈইর পশ্চিম, বাঙ্গরা পূর্ব, কামাল্লা , যাত্রাপর , মুরাদনগর, নবীপুর পূর্ব, নবীপুর পশ্চিম, ধামঘর, পাহাড়পুর, বাবুটিপাড়া ও টনকি ইউনিয়নের ১১ হেক্টর জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে এফ-১ (হাইব্রিট) জাতের সূর্যমুখী ফুলের চাষ করা হয়েছে।

[৫] জানা যায়, ফুলের সৌন্দর্য দেখতে খামারে আসছেন দর্শনার্থীরা। অনেকে এটি চাষ করার পরামর্শও নিচ্ছেন। সূর্যমুখী ফুলের চাষ করলে ফুল থেকে তেল, খৈল ও জ্বালানি পাওয়া যায়। প্রতি কেজি বীজ থেকে কমপক্ষে আধা লিটার তৈল উৎপাদন সম্ভব। প্রতি বিঘা জমিতে ৭মণ থেকে ১০মণ বীজ উৎপাদন হয়। তেল উৎপাদন হবে প্রতি বিঘায় ১৪০ লিটার থেকে ২শ’ লিটার পর্যন্ত। প্রতি লিটার তেলের সর্বনিন্ম বাজার মূল্য ২৫০টাকা। প্রতি কেয়ার জমিতে খরচ হয় সর্বোচ্চ সাড়ে ৩ হাজার টাকা। বর্তমানে বাজারে ভোজ্য তেলের দাম আকাশ ছোঁয়া হওয়ার কারণে চাহিদা বেড়েছে সরিষা ও সূর্যমুখী তেলের। এই সূর্যমুখী ফুলের তেলে আছে অধিক পুষ্টিগুণ। এটি ডায়াবেটিস ও হৃদরোগীদের জন্য অন্যান্য তেলের চেয়ে অনেক উপকারী ও স্বাস্থ্য সম্মত।

[৬] বাখরনগর গ্রামের কৃষক ফারুক হোসেন বলেন, কৃষি অফিসের সহযোগিতায় আমি এই প্রথম ২৫শতাংশ জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছি। জমিতে এসে অনেক মানুষ ছবি তুলে বিনোদ নিচ্ছেন। তা দেখে আমার খুবই আনন্দ লাগে! শুনছি এটি খুবই লাভজনক একটি ফসল।
খুজিস্তা নূর-ই নাহারিন: যুগান্তকারী উদ্ভাবন নিশ্চয়ই মা ও কন্যাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় অভ‚তপূর্ব ভ‚মিকা রাখবে ≣ বিএনপির নির্বাহী কমিটিতে আসছে ব্যাপক পরিবর্তন ≣ মঞ্জুরে খোদা টরিক: আমিও কওমি মাদ্রাসায় রাজনীতি বন্ধের বিপক্ষে, তবে কিছু কথা আছে

[৭] উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা এখলাছুর রহমান বলেন, নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহের দিকে সারিবদ্ধভাবে বীজ বপন করা হয়। বীজ বপনের ৯০-১০০ দিনের মধ্যে ফসল তোলা যায়। সামান্য পরিমাণ রাসায়নিক সার ও দুবার সেচ দিতে হয় এ ফসলে। প্রতি একর জমিতে ২০-২২ হাজার টাকা খরচ হয়। আর এক একর জমির উৎপাদিত বীজ থেকে ৬০-৬৫ হাজার টাকা লাভ করা সম্ভব। সূর্যমুখী গাছ জ্বালানি হিসেবেও ব্যবহার করা যায়।

[৮] মুরাদনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাঈন উদ্দিন আহমেদ সোহাগ বলেন, মুরাদনগরে প্রথমবারের মতো সূর্যমুখী চাষ করা হয়েছে। সূর্যমুখী বীজ থেকে যেই তেল বের হয় তাহা স্বাস্থ্যসম্মত । অলিভ ওয়েলের পরেই সূর্যমুখী তেলের অবস্থান। সোয়াবিন ও সরিষা ভোজ্য তেলের ঘাটতি পূরণ করবে এই সূর্যমুখী তেল।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *