মিয়ানমারে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত ৫০, জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে বিকল্প পদক্ষেপ নেয়ার তাগিদ জাতিসংঘের

বুধবারের বিক্ষোভে মিয়ানমার পুলিশ শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের ওপর এলোপাথাড়ি গুলি নিক্ষেপ করলে ৩৮জন প্রাণ হারান। জাতিসংঘ বলেছে, গত ১ ফেব্রুয়ারি সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে এ পর্যন্ত ৫০জন বিক্ষোভকারী নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে প্রাণ হারিয়েছেন। প্রতিবাদ দমন করতে প্রকাশ্যে গুলি চালাচ্ছে পুলিশ, ব্যবহার করছে টিয়ার গ্যাস, ফ্ল্যাশ ব্যাং, স্টান গ্রেনেড ও জল কামান। সিএনএন,গার্ডিয়ান,আল জাজিরা,রয়টার্স

[৩]মিয়ানমারে জাতিসংঘের বিশেষ দূত ক্রিস্টিনা স্কারনার বার্গনার বলেন, অভ্যুত্থানের পর সবচেয়ে প্রাণঘাতি দিন দেখলো মিয়ানমার। পুলিশ স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপরও হামলা চালিয়েছে। প্রকাশ্যে রাস্তায় নিরস্ত্র মানুষের ওপর গুলি চালানো হয়েছে। ভিডিও ফুটেজ থেকে আমরা ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। ১২’শর বেশি মানুষ গ্রেপ্তার হয়েছে, অনেকের আত্মীয়-স্বজন জানেনই না তাদের কোথায় আটক করে রাখা হয়েছে।’

[৪]বার্গনার বলেন, ‘এই পরিস্থিতি অবিলম্বে বন্ধে প্রত্যেকটি ক্ষেত্র প্রয়োগ করতে হবে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এ বিষয়ে একাত্ম হতে হবে, সদস্য দেশগুলোকেই কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে।’
[১] বেঁচে থাকলে আজ সবার মনে পড়তো রানাকে ≣ পাঁচ পয়সার হোমিও ডাক্তার ≣ [১] পাকিস্তানি প্রেমিকাকে বিয়ে করতে গিয়ে ভারতে ধরা বাংলাদেশি যুবক

[৫] এই সময় বার্গনার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ ও সদস্য দেশগুলোকে সতর্ক করে বলেন, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বর্তমান অবস্থান হচ্ছে, ‘আমরা নিষেধাজ্ঞায় অভ্যস্ত, এবং অতীতে এমন নিষেধাজ্ঞা পার করেছি।’ তাদের একঘরে করে দেয়ার হুমকির উত্তর হচ্ছে, ‘আমাদের কিছু বন্ধু আছে যাদের নিয়ে আমরা একা চলতে পারি’।

[৬]অধিকার গোষ্ঠিগুলো বলছে, সেনাবাহিনী জনগণের বিরুদ্ধে এখন ডিজিটাল অস্ত্র প্রয়োগ করছে। পাসওয়ার্ড হ্যাক, ফোন ক্লোন, ট্র্যাকিং, সামাজিক মাধ্যমের তথ্য ব্যবহার ও ছবি বিশ্লেষণ করে জনগণকে দমিয়ে রাখার সর্বোচ্চ পথ অবলম্বন করছে জান্তা সরকার। এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘আসিয়ান বা চীন মিয়ানমারের জনগণের জন্য কিছু করবে বলে আমি বিশ্বাস করি না। কিন্তু জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্র পারবে। আমরা চাই জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনী আমার দেশে এসে জেনারেলদের গ্রেপ্তার করুক ও আন্তর্জাতিক আদালতে নিয়ে যাক।’

[৭]বুধবারের সহিংসতার পর মিয়ানমারের জনগণের ওপর সহিংসতা বন্ধ করে অতিসত্ত্বর রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের সর্বোচ্চ ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস।

[৮] ব্রিটেন শুক্রবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অধিবেশন আহ্বান করেছে। যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়ার কথা বিবেচনা করছে।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *