সব পেশার শ্রমিক নেওয়ার অনুমোদন দিয়েছে দেশটির মন্ত্রিসভা। ডিবিসি টিভি
[৩] মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী দাতুক শ্রী এম. সারাভানান এক চিঠিতে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
[৪] তিনি বলেন, ‘গত ১০ ডিসেম্বর মন্ত্রিসভার একটি বৈঠকে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগের বিষয়ে বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমাদের চুক্তির স্বাক্ষরের পরই বাংলাদেশি শ্রমিকদের এখানে নিয়োগ করা যাবে।’ সমকাল
[৫] তিনি চিঠিতে লিখেছেন, সব ধরণের কাজেই বাংলাদেশি শ্রমিকের নিয়োগে সায় দিয়েছে মন্ত্রিসভা। বৃক্ষরোপন, কৃষি, যন্ত্রাংশ উৎপাদন ও সারাই, খনিতে খনন, ভবন নির্মাণে দক্ষদের পাশাপাশি গৃহকর্মীও নেবে মালয়েশিয়া।
[৬] করোনা মহামারির প্রেক্ষাপটকে নিয়ে সামনে নিয়ে এম সারাভানান বলেন, ‘প্রবাসী শ্রমিকদের কেউ যেন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত না হন বা তাদের থেকে যেনো তা ছড়িয়ে পড়তে না পারে, সেজন্য আমরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের সঙ্গে কাজ করবো। প্রবাসী শ্রমিকদের নিয়োগের বিষয়ে আমরা একটি স্ট্যান্ডিং অপারেটিং প্রডিউসার (এসওপি) করবো, সে মোতাবেক কাজ করবো।’
এম.এম.নাজমুল হাসান: শেখ রাসেল; অমিয় সম্ভাবনার অপমৃত্যু ≣ [১] সৌদি আরবে করোনাকালীন বিপদগ্রস্থ প্রায় সাত হাজার প্রবাসীর পাশে দাঁড়িয়েছেন আব্দুর রহমান ≣ [১] উখিয়ায় ইয়াবা কিনতে এসে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৩১ লাখ টাকাসহ আটক ২
[৭] এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন বলেন, ‘মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগের লক্ষ্যে দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সমঝোতা স্মারক সই করবে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়। মালয়েশিয়ার সরকার সমঝোতা স্মারক সইয়ের অনুমতি দিয়েছে। এর আগে সমঝোতা স্মারকের খসড়ায় ৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত মতামত এসেছে।’
[৮] গত ৭ ডিসেম্বর প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদ জানিয়েছিলেন, চলতি মাসেই সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে।
[৯] বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিতে পাঁচ বছর আলোচনার পর ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে চুক্তি করে মালয়েশিয়া। তবে বহুল আলোচিত জিটুজি প্লাস নামের চুক্তি একদিন পরেই স্থগিত করে মালয়েশিয়া।
[১০] নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হলে ২০১৭ সালের শুরুতে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানো শুরু হয়। দুই বছরে প্রায় পৌনে দুই লাখ কর্মী যায় দেশটিতে। মাত্র ১০টি রিক্রুটিং এজেন্সি কর্মী পাঠানোর কাজ পেয়েছিলো। ঢাকা পোস্ট
[১১] জিটুজি প্লাসে পাঁচ হাজার কোটি টাকার বেশি দুর্নীতি হয়েছে। এ অভিযোগে মাহথির মুহাম্মদ ক্ষমতায় ফিরে ২০১৮ সালে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেওয়া বন্ধ করে দেন। এরপর অনেকবার আলোচনা এবং কয়েক দফা ঘোষণা দিয়েও খুলেনি মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার।
এক্সক্লুসিভ রিলেটেড নিউজ