
নারীদের ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের সফলতম দল জার্মানি। প্রতিযোগিতাটিতে সর্বোচ্চ ৮ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে দলটি। চলতি আসরে ৯ম শিরোপার মিশনে বেশ ভালোভাবেই লড়ছে জার্মান মেয়েরা। ইতোমধ্যেই ফাইনাল নিশ্চিত করেছে তারা। বুধবার বাকিংহ্যামশায়ারে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ২-১ গোলে ফ্রান্সকে হারায় জার্মানি।
জার্মানির পক্ষে দুটি গোলই করেন ভলসবুর্গ স্ট্রাইকার আলেক্সান্ড্রা পোপ। ফ্রান্সের পক্ষের গোলটি আত্মঘাতী।
ম্যাচ হারলেও জার্মানির সঙ্গে লড়াই করেছে ফরাসি মেয়েরা। ৪৯ শতাংশ বল দখলে রাখা ফ্রান্স প্রতিপক্ষের গোলবারের উদ্দেশ্যে মোট ১৪টি শট নেয়। যার মধ্যে লক্ষ্যে ছিল ২টি। অপরদিকে ৫১ শতাংশ বল দখলে রাখা জার্মানি ১১টি শটের ৪টি লক্ষ্যে রাখে।
ম্যাচের ৪০তম মিনিটে আলেক্সান্ড্রা পোপের গোলে এগিয়ে যায় জার্মানি। ৪ মিনিটের ব্যবধানে নিজেদের ভুলে গোল হজম করে জার্মানরা। বিজ্ঞাপন
গোলরক্ষক মেরলে ফ্রোয়েমসের গায়ে লেগে গোলপোস্ট থেকে ফিরে আসা বল জালে জড়ায়।
ম্যাচের ৭৬তম মিনিটে আবার জার্মান ভক্তদের আনন্দে ভাসান অলিম্পিকের গোল মেডেলিস্ট আলেক্সান্ড্রা পোপ। ম্যাচের বাকি সময়ে দু’দলই আক্রমণ ও প্রতি-আক্রমণ চালায়। তবে জালের দেখা পায়নি কেউ।
ম্যাচ জিতে নিজের খেলোয়াড়দের প্রশংসা করেন জার্মান কোচ ভস-টেকলেনবার্গ, ‘মাঠে তারা নিজেদের খেলায় মনোযোগ দেয়। মেয়েদের অনেক গতি আছে। তারা বেশ আক্রমণাত্মক খেলে।’
প্রতিপক্ষ ফ্রান্সের প্রশংসা করে টেকলেনবার্গ বলেন, ‘আমি আগেও বলেছি, ফ্রান্স যদি নিজেদের মানের খেলাটা খেলতে পারে তারা এই প্রতিযোগিতার ফেভারিটদের মধ্যে থাকবে।’
৯ম শিরোপা জেতার মিশনে আগামী ৩১শে জুলাই ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হবে জার্মানি। ২০০৯ ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে ইংলিশ নারী দলকেই হারিয়ে নিজেদের সপ্তম শিরোপা জিতেছিল জার্মানি। সেবারই সবশেষ ইউরোর ফাইনাল খেলেছে ইংল্যান্ড। চলতি আসরের ফাইনালে জার্মানদের হারিয়ে পুরনো হিসেব মেটানোর সুযোগ রয়েছে ইংলিশদের।
জার্মানি ও ইংল্যান্ডের দ্বৈরথ নিয়ে সমর্থকদের উন্মাদনা তুঙ্গে। ইতোমধ্যেই ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিতব্য ফাইনাল ম্যাচের সব টিকিট শেষ। ইংল্যান্ডের সর্ববৃহৎ এবং ইউরোপের দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ স্টেডিয়ামটিতে দর্শক ধারণ ক্ষমতা ৮৭২০০ জন। ধারণা করা হচ্ছে মেয়েদের কোনো টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ উপস্থিতির রেকর্ড ভাঙতে পারে ইংল্যান্ড-জার্মানি ফাইনাল ম্য্যাচ।
১৯৯৯ সালে মেয়েদের ফুটবল বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্র ও চায়নার মধ্যকার ফাইনাল ম্যাচে দর্শক উপস্থিত হয়েছিলেন ৯০১৮৫ জন।