তাকে পিতার আসনে রেখেছি -এস আই টুটুল

এলআরবি ছাড়ার পর আমি আর কোনো দিন স্টেজে কারো জন্য কিবোর্ড বাজাইনি। বসও এলআরবিতে কাউকে কি-বোর্ডিস্ট হিসেবে নেননি। এটি হয়ত আমার প্রতি অভিমান কিংবা ভালোবাসা থেকে। তবে আমি ভালোবাসাকেই প্রাধান্য দেবো। এলআরবি ছাড়ার পরে আমি যতদিন বসের দেখা পেয়েছি সালাম করেছি। তিনিও আমাকে বুকে জড়িয়ে নিতেন। সত্যি বলতে, আমি তাকে পিতার আসনে রেখেছি। প্রয়াত কিংবদন্তি ব্যান্ড তারকা আইয়ুব বাচ্চুকে নিয়ে মানবজমিনকে এভাবে কথাগুলো বলছিলেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী এস আই টুটুল।
আগামীকাল আইয়ুব বাচ্চুর ২য় মৃত্যুবার্ষিকী। শ্রদ্ধা ভরে তাকে স্মরণ করে টুটুল আরো বলেন, আমি আমার প্রয়োজনে এলআরবি ছেড়েছি। কাজের তাগিদে অনেকেই আলাদা হয়। তাই বলে বসের সঙ্গে আমার কোনো দিন খারাপ সম্পর্ক ছিলো না। কেউ কেউ আমাদের নিয়ে জলঘোলা করতে চেয়েছেন বিভিন্ন সময়। আমি সব সময় বলে আসছি আমি বসের কারণেই আজ এতদূর আসতে পেরেছি। এরইমধ্যে সরকার আইয়ুব বাচ্চুর গান নিয়ে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানান টুটুল। সে বিষয়ে তিনি বলেন, আগামীকাল সরকারিভাবে বসের গানগুলো কপিরাইট করা হবে। সংরক্ষণ করা হবে তার সব গান। প্রথমবারের মতো দেশে কারো গান সংরক্ষণ করছে সরকার। সেটি আমার বসের। এলআরবি থেকে বের হয়ে টুটুল ধ্রুবতারা নামে একটি ব্যান্ড গঠন করেন। কিন্তু এই সময়ে ব্যান্ডের আগের জোয়ার নেই বলেই অনেকে মন্তব্য করেন। এটিকে টুটুল কিভাবে দেখছেন? প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আগে ব্যান্ডের কনসার্ট দেখার জন্য মানুষ টিকেট কেটে আসতো। কিন্তু এখন টাকা দিয়ে কেউ কনসার্ট দেখছে না। বিভিন্ন কোম্পানি কনসার্টের আয়োজন করছে তাদের পন্যের বিনিময়ে। যে বিভিন্ন ধরনের গান করছে এমন একজন শিল্পীকে মঞ্চে নিয়ে আসা হচ্ছে। সে কখনো আইয়ুব বাচ্চুর, কখনো জেমসের আবার কখনো অন্য কোনো শিল্পীর গান করছে। সস্তায় শ্রোতারা সব পাচ্ছে। এছাড়া একটা ব্যান্ড নিয়ে কনসার্ট করার জন্য যে ধরনের অ্যারেঞ্জমেন্ট প্রয়োজন সেটি এখন অনেক আয়োজকেরা করছেন না। একটা জনপ্রিয় ব্যান্ডের বাজেট দিয়ে পাঁচজন শিল্পী কে নিচ্ছে কেউ কেউ। কনসার্ট নিয়ে ব্যস্ততা না থাকলেও বসে নেই এই তারকা। বর্তমানে নায়িকা রোজিনা ও জাকির হোসেন রাজুর একটি ছবির সংগীত পরিচালনা করছেন বলে জানান। একই সঙ্গে সালাউদ্দিন লাভলুর একটি ওয়েব সিরিজ ও বিভিন্ন নাটকের ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক করছেন তিনি।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *