গুণী অভিনেতা ফজলুর রহমান বাবু। টিভি নাটক, সিনেমা, ওয়েব-তিন মাধ্যমেই সমান ব্যস্ত সময় পার করছেন। গতকাল তিনি নির্মাতা আল-হাজেনের একটি একক নাটকে কাজ করেন। করোনাকালীন সময়কে নির্ভর করেই নাটকটির গল্প আবর্তিত হয়েছে বলে জানান বাবু। তবে এই সময়ে খণ্ড নাটকের বাইরে নতুন কোনো ধারাবাহিক নাটকে কাজ করছেন না তিনি। ধারাবাহিক থেকে কেন দূরে আছেন? উত্তরে বাবু বলেন, ‘মেহমান’ এর বাইরে আর কোনো ধারাবাহিকে কাজ করছি না। কারণ গল্পের মান এত নিচে নেমে গেছে যে ধারাবাহিকে কাজ করার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছি। তাই এখন টিভি সিরিয়ালে কাজ করার মানসিকতা নেই।
টিভি ধারাবাহিকের এই বিপর্যয়ের কারন কী বলে মনে করেন? বাবু উত্তরে বলেন, এর কারণ বলতে পারবে টিভি চ্যানেল কতৃপক্ষ। এছাড়া যারা এই ধরনের ধারাবাহিক নির্মাণ করছেন তারাই জানেন কেন এমন নাটক বানান। টিভি চ্যানেল ও নির্মাতারা বলে থাকেন শিল্পীরা নাকি এখন এই ধরনের কাজে স্বাচ্ছ্বন্দ্যবোধ করেন। এ নিয়ে আপনার মন্তব্য কী? এ অভিনেতা বলেন, শিল্পীদেরও ক্যাটাগরি আছে। যারা কাজ করছে তারা কোন ক্যাটাগরির সেটিও আমাদের বুঝতে হবে। এই অভিনেতা সম্প্রতি নির্মাতা রায়হান রাফির ‘খাঁচার ভিতর অচিন পাখি’ শিরোনামের একটি ওয়েব ফিল্মের কাজ শেষ করেছেন। ওটিটি প্ল্যাটফরমকে কিভাবে দেখছেন? এ প্রসঙ্গে বাবু বলেন, নতুন মাধ্যমকে গ্রহন করা উচিৎ। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকম মাধ্যম আসবে বিনোদনে। তাই বলে আগেরটার আবেদন শেষ হবে না। তবে নতুন মাধ্যম আসলে শুরুর দিকে আলোচনা-সমালোচনা থাকে। চলচ্চিত্রের বর্তমান অবস্থা নিয়েও এই অভিনেতা কথা বলেন। তিনি বলেন, করোনার আগে চলচ্চিত্রের ঘুরে দাঁড়ানোর মতোই অবস্থা ছিল। কিন্তু করোনা সেটিকে থামিয়ে দিলো। শুধু চলচ্চিত্রে নয়, সব কিছুতে করোনার প্রভাব পড়েছে। চলচ্চিত্র নিয়ে বর্তমান ব্যস্ততা কেমন আপনার? এ অভিনেতা বলেন, লকডাউনের পর সিনেমার কাজই বেশি করছি। চলতি মাসের ১০ তারিখ থেকে সরকারি অনুদানের একটি সিনেমার কাজ শুরু করবো। এর নির্মাতা মির্জা সাখাওয়াত। এছাড়া মাসের শেষের দিকে এস এ হক অলিকসহ কয়েকজন নির্মাতার ছবির কাজ শুরু করবো। এদিকে বেশ কিছু সিনেমা মুক্তির অপেক্ষায় আছে এই অভিনেতার। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-‘পাপপূন্য’, ‘নোনা জলের কাব্য, ‘রাত জাগা ফুল’, ‘উড়াল’ ও ‘পায়রার চিঠি’।