‘এক জীবন’ গান দিয়ে শ্রোতামহলে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন সংগীতশিল্পী সৈয়দ শহীদ। এ গানের পর আরো বেশ কিছু শ্রোতপ্রিয় গান তিনি উপহার দিয়েছেন। অন্যদিকে নিজের ব্যান্ড দূরবীন এর নতুন গান, স্টেজ শো নিয়ে চলেছে তার নিয়মিত ব্যস্ততা। যদিও নিজেকে পেশাগত শিল্পী মনে করেন না শহীদ। নিজের ব্যবসার পাশাপাশি ভালোবাসা থেকে গান করেন তিনি। এখনও নতুন গান নিয়ে চলছে তার ব্যস্ততা। কেমন আছেন? দিনকাল কেমন কাটছে? শহীদ উত্তরে বলেব, বেশ ভালো আছি। রমজান মাস চলছে।
সিয়াম সাধনার মাস। নিজেকে সেভাবেই পরিচালিত করছি। আর নিয়মিত কাজ তো চলছেই।
এখনকার ব্যস্ততা কি নিয়ে? উত্তরে এ সংগীতশিল্পী বলেন, নতুন গান নিয়ে ব্যস্ত রয়েছি। কয়েকটি একক কণ্ঠের গান করেছি। অন্যদিকে ব্যান্ড দূরবীনের গান নিয়েও চলছে ব্যস্ততা। গেল বছরের ডিসেম্বরের ২২ তারিখ আমরা প্রকাশ করি দূরবীনের গান ‘দিও খবর’। এরপর চলতি বছরের ২৫শে জানুয়ারি প্রকাশ হয় দূরবীনের ‘প্রেমের বদনাম’ গানটি। এরইমধ্যে দুটি গানই বেশ প্রশংসিত হয়েছে শ্রোতামহলে। আসলে আমরা দূরবীনের তরফ থেকে সিদ্ধান্ত নিয়েছি প্রতি মাসে একটি করে গান প্রকাশের। সেই অনুযায়ী কাজ করছি। তাছাড়া আমরা ব্যান্ডের সদস্যরা নানা কাজে ব্যস্ত থাকি। তাই চিন্তা করলাম শ্রোতাদের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকেই নিয়মিত গান দেয়া উচিত আমাদের।
আশা করছি এই ধারা অব্যাহত থাকবে। এছাড়াও একটি চমক থাকছে ঈদে। সেটা কি? এ শিল্পী বলেন, ঈদের জন্য একটি বিশেষ দ্বৈত গান করেছি। গানটির শিরোনাম ‘তোরই কাছাকাছি’। গানটিতে আমার সাথে কন্ঠ দিয়েছেন দেশের মেধাবী কন্ঠশিল্পী হৈমন্তী। এর সুর ও সংগীত করেছে রেজোয়ান শেখ। গানটি খুবই রোমান্টিক। কথার সঙ্গে মিল রেখে এর একটি ভিডিও করা হয়েছে। আশা করছি ঈদ উপলক্ষে গানটি প্রকাশ পেলে সবার ভালো লাগবে। এছাড়া আর কি আসছে? শহীদ বলেন, আমি পেশাগত শিল্পী নই। মানুষ আমার গান পছন্দ করেছে, এটাই আমার কাছে বিশাল পাওয়া। সেই শ্রোতাদের কথা মাথায় রেখেই নতুন গান করার চেষ্টা করি।
আরো কিছু নতুন গান তৈরী হয়ে আছে। এগুলো নিয়ে আমি আশাবাদী। যত্ন করে এর কথা-সুর ও সংগীত করা হয়েছে। আশা করছি শ্রোতাদের ভালো লাগবে। এখন মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা কেমন মনে হচ্ছে? শহীদের উত্তর- করোনা পরিস্থিতির কারণে শিল্পী-মিউজিশিয়ানরা খুব খারাপ সময় পার করেছে। এখন সেই অবস্থা কাটিয়ে উঠার চেষ্টা চলছে। তবে যে ক্ষতি হয়েছে তা কাটিয়ে উঠতে সময় লাগবে। ইন্ডাস্ট্রি চাঙা হতে সময় দিতে হবে। তবে প্রত্যাশা করি খুব দ্রুতই স্বাভাবিক ছন্দে ফিরুক সংগীতাঙ্গন।