রাজধানীর ইসিবি চত্বরে আন্দোলনকারীদের ওপর লাঠিচার্জ এবং পল্টন, সায়েন্সল্যাব, ধানমন্ডি ও মিরপুরে বাধা দিয়েছে পুলিশ। এ সময় অনেককে আটক করা হয়েছে। সোমবার দুপুরের দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এর আগে একদল বিক্ষোভকারী ইসিবি চত্বরে জড়ো হন। এ সময় আন্দোলনকারীদের লাঠিচার্জ করে সরিয়ে দেয় পুলিশ এবং কয়েকজনকে আটক করে।
সেখানে দায়িত্বরত পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, বিক্ষোভকারীরা গলির ভেতরে থেকে ইটপাটকেল ছুড়ছিল। পরে পুলিশ তাদের সরিয়ে দিয়েছে। এ সময় কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
অন্যদিকে পল্টন মোড়ে আট থেকে দশজন আন্দোলনকারীকে অবস্থান নিতে দেখা যায়। ছাত্র হত্যার বিচার ও আটকৃতদের মুক্তির দাবিতে নানা স্লোগান দিতেও দেখা যায়। সেখানে বাধা দেয় পুলিশ।
এ সময় পল্টন মোড়ে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এদিন সকাল থেকেই সাজোঁয়াযানসহ প্রেস ক্লাবের সামনে কড়া অবস্থান নেয় পুলিশ। বর্তমানে প্রেস ক্লাবের সামনের সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
সেখান থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক সহ-সমন্বয়কারীসহ চার শিক্ষার্থীকে আটক করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, আটক চারজনের মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সহ-সমন্বয়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মোসাদ্দেক ও রাফি নামে একজন রয়েছেন।
রাজধানীর মিরপুর ১০ ও ধানমন্ডির স্টার কাবাবের সামনে থেকে বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে পুলিশ।
বিজ্ঞাপন
বিক্ষোভ কর্মসূচির সময় মিরপুর ১০ নম্বরের গোলচত্বর থেকে ১০ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মিরপুর থানার ওসি মুন্সি সাব্বির।
ওদিকে সায়েন্সল্যাব থেকে কয়েকজনকে আটকের খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া ধানমন্ডির স্টার কাবাবের সামনে থেকে ১০ জনকে আটকের কথা জানিয়েছেন নিউমার্কেট জোনের সহকারী কমিশনার মো. রেফাতুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, গোয়েন্দা পুলিশের ‘হেফাজতে’ থাকা অবস্থায় গতকাল রোববার রাতে কর্মসূচি প্রত্যাহার করার একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছিলেন কোট সংস্কারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম। তবে অন্য দুইজন সমন্বয়ক অভিযোগ করেছেন, জিম্মি করে নির্যাতনের মুখে এই বক্তব্য দেয়ানো হয়েছে।
পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল কাদেরের গণমাধ্যমে পাঠানো বার্তায় সারা দেশে আজ সোমবার ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ কর্মসূচি ও প্রতিবাদ সমাবেশ ঘোষণা করা হয়।